০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে বিস্ফোরণে নিহত ৩, আহত ১০

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : ০৩:৫২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৭০ টাইম ভিউ

ডেস্ক নিউজ : গ্যাস নেওয়ার সময় বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ অক্টোবর রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকার গ্রীনলীফ ফিলিং স্টেশনে এই বিস্ফোরণ হয়।

এ ঘটনায় নিহতেরা হলেন সদর উপজেলার চরমনসার বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন (৩০), বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া (৪৫) ও হৃদয় হোসেন (২৩)। এরা সকলেই সিএনজিচালিত অটোচালক। আহতদের মধ্যে সুমন হোসেন, রকি ইসলাম, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, হৃদয় ইসলাম, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ১০ জনকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী ওই ফিলিং স্টেশনে রামগতি-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচল করা মেঘনা পরিবহনের একটি বাস গ্যাস নিতে আসে। বাসটিতে গ্যাস দেওয়া শুরু হলেই সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হয়। এতে চারপাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজিচালিত অটোচালকেরা ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান তিন জন। আহত হন আরও ২০ জন।
চালকেরা জানান, দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিচ্ছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। হঠাৎ মেঘনা পরিবহনের একটি বাস ফিলিং স্টেশনে এসে লাইনে না দাঁড়িয়ে সরাসরি গ্যাস নিতে চলে যায়। পাম্পের অপারেটর বাসে গ্যাস দিতে শুরু করলে এক পর্যায়ে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রনজিত কুমার বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এর মধ্যে তিনজন মারা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারটি মেয়াদহীন ও নিম্নমানের হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জয়নাল আবেদিন বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত হয় ২০ জন। আহতদের মধ্যে কারো পা ও কারো হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাঁদের ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগ:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে বিস্ফোরণে নিহত ৩, আহত ১০

আপডেটের সময় : ০৩:৫২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ডেস্ক নিউজ : গ্যাস নেওয়ার সময় বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ অক্টোবর রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকার গ্রীনলীফ ফিলিং স্টেশনে এই বিস্ফোরণ হয়।

এ ঘটনায় নিহতেরা হলেন সদর উপজেলার চরমনসার বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন (৩০), বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া (৪৫) ও হৃদয় হোসেন (২৩)। এরা সকলেই সিএনজিচালিত অটোচালক। আহতদের মধ্যে সুমন হোসেন, রকি ইসলাম, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, হৃদয় ইসলাম, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ১০ জনকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী ওই ফিলিং স্টেশনে রামগতি-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচল করা মেঘনা পরিবহনের একটি বাস গ্যাস নিতে আসে। বাসটিতে গ্যাস দেওয়া শুরু হলেই সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হয়। এতে চারপাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজিচালিত অটোচালকেরা ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান তিন জন। আহত হন আরও ২০ জন।
চালকেরা জানান, দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিচ্ছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। হঠাৎ মেঘনা পরিবহনের একটি বাস ফিলিং স্টেশনে এসে লাইনে না দাঁড়িয়ে সরাসরি গ্যাস নিতে চলে যায়। পাম্পের অপারেটর বাসে গ্যাস দিতে শুরু করলে এক পর্যায়ে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রনজিত কুমার বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এর মধ্যে তিনজন মারা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারটি মেয়াদহীন ও নিম্নমানের হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জয়নাল আবেদিন বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত হয় ২০ জন। আহতদের মধ্যে কারো পা ও কারো হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাঁদের ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।