০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিতর্কিত ভোটের’ কারণে সাবেক দুই সিইসির কথা মনে করিয়ে দিলেন বর্তমান সিইসি

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : ১১:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৪৭ টাইম ভিউ

ডেস্ক নিউজ :২০২৬ সালে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও বিষয়টিকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোট গ্রহণে কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।

একই সঙ্গে ‘বিতর্কিত ভোটের’ কারণে সাবেক দুই সিইসির এখন কারাবাস ও জুতার মালা পরানোর ঘটনাও তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনাররা।

২৯ আগস্ট শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ইটিআই মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি ভোটগ্রহণে সম্পৃক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাদের আইন, বিধি জানার পাশাপাশি নৈতিকতা, সততার সঙ্গে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যেন সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিফলন ঘটে, সে বিষয়ে নজর রাখার তাগিদ দেন এবং এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, যা আমরা এখনো জানি না। অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ আসবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতে এটা প্রপারলি অ্যাড্রেস হয়, সেই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আইনকানুনের বিষয়ে জানতে হবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ এলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ট্রেনিংকে সিরিয়াসলি নিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের সফলতা নির্ভর করছে। প্রশিক্ষণের বটমলাইন হচ্ছে—প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম অ্যান্ড নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি।

সাবেক দুই সিইসির পরিণতি দুঃখজনক, বিশ্লেষণ দরকার—জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আমার সহকর্মী বলে গেলেন নির্বাচনটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরানো হয়েছে। আরেকটু যোগ করে যদি বলি, আরেকজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বর্তমানে কারান্তরে রয়েছেন। দুঃখজনক! এ পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী, গভীর বিশ্লেষণের দরকার।’

ট্যাগ:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

বিতর্কিত ভোটের’ কারণে সাবেক দুই সিইসির কথা মনে করিয়ে দিলেন বর্তমান সিইসি

আপডেটের সময় : ১১:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

ডেস্ক নিউজ :২০২৬ সালে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ইতিহাসের সেরা ভোট’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় রাখলেও বিষয়টিকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে ভোট গ্রহণে কর্মকর্তাদের নৈতিকতা, পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।

একই সঙ্গে ‘বিতর্কিত ভোটের’ কারণে সাবেক দুই সিইসির এখন কারাবাস ও জুতার মালা পরানোর ঘটনাও তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনাররা।

২৯ আগস্ট শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ইটিআই মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি ভোটগ্রহণে সম্পৃক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাদের আইন, বিধি জানার পাশাপাশি নৈতিকতা, সততার সঙ্গে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যেন সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিফলন ঘটে, সে বিষয়ে নজর রাখার তাগিদ দেন এবং এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, যা আমরা এখনো জানি না। অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ আসবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতে এটা প্রপারলি অ্যাড্রেস হয়, সেই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আইনকানুনের বিষয়ে জানতে হবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ এলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ট্রেনিংকে সিরিয়াসলি নিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের সফলতা নির্ভর করছে। প্রশিক্ষণের বটমলাইন হচ্ছে—প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম, প্রোফেশনালিজম অ্যান্ড নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি, নিউট্রালিটি।

সাবেক দুই সিইসির পরিণতি দুঃখজনক, বিশ্লেষণ দরকার—জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আমার সহকর্মী বলে গেলেন নির্বাচনটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পরানো হয়েছে। আরেকটু যোগ করে যদি বলি, আরেকজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বর্তমানে কারান্তরে রয়েছেন। দুঃখজনক! এ পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী, গভীর বিশ্লেষণের দরকার।’