০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন গুলিবিদ্ধদের ভর্তি না করার জন্য তারা চাপ দেন ডিবি –ডা: মাহফুজ

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : ০৮:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৮৬ টাইম ভিউ

ডেস্ক নিউজ :গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় তিনি এমন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউশন জানায়, মাহফুজুর রহমান বলেন, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আনা গুরুতর আহত ১৬৭ জনের বেশিরভাগের মাথার খুলি ছিল না। এ সময় শেখ হাসিনাসহ চারজনের দৃশ্যমান ফাঁসি ও বিচার দাবি করেন তিনি।

ফাঁসি চাওয়া অন্য আসামিরা হলেন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বুধবার (২০ আগস্ট) ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আগামী রোববার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দেয়ায় ডিবি পুলিশের হুমকি পেয়েছেন বলেও জবানবন্দিতে তুলে ধরেন ১৩ তম সাক্ষী ডা. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, “১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লোকেরা আমাদের হাসপাতালে আসেন। ওই সময় নতুন গুলিবিদ্ধদের ভর্তি না করার জন্য তারা চাপ দেন। ‘ডিবির সদস্যরা বলেন, আপনি অতি উৎসাহী হবেন না। আপনি বিপদে পড়বেন। যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ দেবেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তখন আমরা ভর্তি রেজিস্টারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করি।”

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

ট্যাগ:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

নতুন গুলিবিদ্ধদের ভর্তি না করার জন্য তারা চাপ দেন ডিবি –ডা: মাহফুজ

আপডেটের সময় : ০৮:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ডেস্ক নিউজ :গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় তিনি এমন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউশন জানায়, মাহফুজুর রহমান বলেন, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আনা গুরুতর আহত ১৬৭ জনের বেশিরভাগের মাথার খুলি ছিল না। এ সময় শেখ হাসিনাসহ চারজনের দৃশ্যমান ফাঁসি ও বিচার দাবি করেন তিনি।

ফাঁসি চাওয়া অন্য আসামিরা হলেন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বুধবার (২০ আগস্ট) ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আগামী রোববার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দেয়ায় ডিবি পুলিশের হুমকি পেয়েছেন বলেও জবানবন্দিতে তুলে ধরেন ১৩ তম সাক্ষী ডা. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, “১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লোকেরা আমাদের হাসপাতালে আসেন। ওই সময় নতুন গুলিবিদ্ধদের ভর্তি না করার জন্য তারা চাপ দেন। ‘ডিবির সদস্যরা বলেন, আপনি অতি উৎসাহী হবেন না। আপনি বিপদে পড়বেন। যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ দেবেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তখন আমরা ভর্তি রেজিস্টারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করি।”

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।