০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মসজিদে ইমাম কোপানোর কারণ

মসজিদে চা/পা/তি দিয়ে ইমাম সাহেবকে কু/ পা/নোর সঠিক ঘটনাঃ

* হামলাকারীর পরিচয়ঃ
ছবির লোকটির নাম বিল্লাল হোসেন। তার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মনোহরখাদি, বিষ্ণুপুর ৭ নম্বর বকুলতলা রোড এলাকায়। এই লোকটিই ইমামকে কু/পি/য়েছে।

* ইমামের পরিচয়ঃ
নামঃ মাওলানা আ. ন. ম. নূরুর রহমান মাদানী, তিনি উক্ত মসজিদের খতিব। নূরুর রহমান মাদানী মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লেগ। তার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকায়।

* ঘটনা সংক্ষেপঃ
গত রমজান মাস শুরুর আগেরদিন এই ইমাম মসজিদে বয়ানে নবীজী সমন্ধে কিছু মন্তব্য করেন। এবং বলেন মিলাদ বিদয়াত, মিলাদের কোন দলিল ইসলামে নাই।

ইমামের সেই বক্তব্য এই বিল্লালের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় নি। সে ঠান্ডা মাথায় বাড়ি চলে যায়। বাড়ি যেয়ে কুরআন হাদিস ঘেঁটে মিলাদের পক্ষে দলিল খোঁজতে থাকে, এবং কুরআনের দলিল পেয়ে যায়। সেই থেকে ইমামকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে, এবং উপায় খোঁজতে থাকে।

আজ শুক্রবার একটি চা/পাতি জায়নামাজে পেঁচিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। এবং সুযোগ বুঝে বৃদ্ধ ইমামের উপর ঝাপিয়ে পরে, এবং এক কো/পে গ/লা নামিয়ে দেয়ার বাসনায় ঘাড় বরাবর কো/প দেয়। কিন্তু সেই কো/প কান বরাবর লাগে। তৎক্ষনাৎ মুসল্লিরা তাকে ধরে ফেলে। র/ ক্তে লা ল হয়ে যায় মসজিদ। ইমাম সাহেবের মাথায় ১২টি সেলাই করা হয়। প্রচুর রক্ত /ক্ষরণ হওয়ায় এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।

* ইমাম সাহেব কি বলেছিলেনঃ বিল্লালের ভাষ‍্য অনুযায়ী ইমাম বলেছিল,
“নবিজি হলেন পিয়ন। পিয়নের কাছে দরখাস্ত করলে দুআ কবুল হয় না। তাই নবিজির কাছে দুআ করা যাবে না৷ আল্লাহ হলেন অফিসার, সরাসরি অফিসারের কাছে দোয়া করতে হবে। এবং, মিলাদ বিদআত, এর পক্ষে ইসলামে কোন দলিল নাই”।

* এই পোস্টের রেফারেন্সঃ
কোন পত্রিকা থেকে আমি এই তথ্য সংগ্রহ করি নি। পুলিশ উক্ত বিল্লালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল নিজে এই সব কথা বলে। বিল্লাল বলে, সে সজ্ঞানে এই কাজ করেছে। সে কোন দলের সাথে জড়িত নয়। শুধুমাত্র নবী প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

ট্যাগ:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

মসজিদে ইমাম কোপানোর কারণ

আপডেটের সময় : ০৪:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

মসজিদে চা/পা/তি দিয়ে ইমাম সাহেবকে কু/ পা/নোর সঠিক ঘটনাঃ

* হামলাকারীর পরিচয়ঃ
ছবির লোকটির নাম বিল্লাল হোসেন। তার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মনোহরখাদি, বিষ্ণুপুর ৭ নম্বর বকুলতলা রোড এলাকায়। এই লোকটিই ইমামকে কু/পি/য়েছে।

* ইমামের পরিচয়ঃ
নামঃ মাওলানা আ. ন. ম. নূরুর রহমান মাদানী, তিনি উক্ত মসজিদের খতিব। নূরুর রহমান মাদানী মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লেগ। তার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকায়।

* ঘটনা সংক্ষেপঃ
গত রমজান মাস শুরুর আগেরদিন এই ইমাম মসজিদে বয়ানে নবীজী সমন্ধে কিছু মন্তব্য করেন। এবং বলেন মিলাদ বিদয়াত, মিলাদের কোন দলিল ইসলামে নাই।

ইমামের সেই বক্তব্য এই বিল্লালের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় নি। সে ঠান্ডা মাথায় বাড়ি চলে যায়। বাড়ি যেয়ে কুরআন হাদিস ঘেঁটে মিলাদের পক্ষে দলিল খোঁজতে থাকে, এবং কুরআনের দলিল পেয়ে যায়। সেই থেকে ইমামকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে, এবং উপায় খোঁজতে থাকে।

আজ শুক্রবার একটি চা/পাতি জায়নামাজে পেঁচিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। এবং সুযোগ বুঝে বৃদ্ধ ইমামের উপর ঝাপিয়ে পরে, এবং এক কো/পে গ/লা নামিয়ে দেয়ার বাসনায় ঘাড় বরাবর কো/প দেয়। কিন্তু সেই কো/প কান বরাবর লাগে। তৎক্ষনাৎ মুসল্লিরা তাকে ধরে ফেলে। র/ ক্তে লা ল হয়ে যায় মসজিদ। ইমাম সাহেবের মাথায় ১২টি সেলাই করা হয়। প্রচুর রক্ত /ক্ষরণ হওয়ায় এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।

* ইমাম সাহেব কি বলেছিলেনঃ বিল্লালের ভাষ‍্য অনুযায়ী ইমাম বলেছিল,
“নবিজি হলেন পিয়ন। পিয়নের কাছে দরখাস্ত করলে দুআ কবুল হয় না। তাই নবিজির কাছে দুআ করা যাবে না৷ আল্লাহ হলেন অফিসার, সরাসরি অফিসারের কাছে দোয়া করতে হবে। এবং, মিলাদ বিদআত, এর পক্ষে ইসলামে কোন দলিল নাই”।

* এই পোস্টের রেফারেন্সঃ
কোন পত্রিকা থেকে আমি এই তথ্য সংগ্রহ করি নি। পুলিশ উক্ত বিল্লালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল নিজে এই সব কথা বলে। বিল্লাল বলে, সে সজ্ঞানে এই কাজ করেছে। সে কোন দলের সাথে জড়িত নয়। শুধুমাত্র নবী প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।