(রিয়াজুল ইসলাম বাচ্ছু- ঝালকাঠি) : ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রেজাউল করিমের সামাজিক ও জনসেবায় খ্যাতি অর্জন
তিনি ২০০১ সাল থেকেই জাতীয় সংসদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে তার নির্বাচনী এলাকায় নানামুখী কার্যক্রম শুরু করেন। মোসলেম আলী খান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হতদরিদ্র মেহনতি মানুষের আর্থিক ও সামাজিক সহায়তা শুরু করেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাঠাগার স্থাপন ও পরিচালনা করেন। কন্যা দায়গ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে এলাকায় বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রার্থীদের মধ্যে মাঠে-ময়দানে বেশ সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৭ জন নেতার নাম আলোচনায় থাকলেও তাদের মধ্যে অন্যতম এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হলেন টকশো বিশ্লেষক ও গবেষক ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি একজন লেখক, গবেষক, সংগঠক এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একজন নিবেদিতপ্রাণ। যুক্তরাজ্য প্রবাসী এই নেতা পূর্বেও ২০০১, ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালে ঝালকাঠি-১ ও পিরোজপুর-২ আসন থেকে মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
তিনি টেলিভিশনের জনপ্রিয় টকশোগুলোর একজন নিয়মিত বক্তা, যিনি তথ্য ও যুক্তির মাধ্যমে বিএনপির আদর্শ তুলে ধরেন এবং জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।
তার প্রতিষ্ঠিত ও নেতৃত্বাধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা কেন্দ্র (চেয়ারম্যান)
ডেমোক্রেসি রিসার্চ সেন্টার (DRC)
জীবনানন্দ দাশ গবেষণা কেন্দ্র
শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক রিসার্চ ইনস্টিটিউট
সাতুরিয়া ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক ও মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।
লেখক হিসেবে তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে: ‘জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় চিন্তা’, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা’, ‘জুলাই বিপ্লব ও পরবর্তী রাজনীতি’, ‘নির্বাচিত কলাম’ সহ একাধিক গবেষণামূলক বই।
এই আসনে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম জামাল, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম আযম সৈকত, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম রফিক, তরুণ দলের উপদেষ্টা জাকারিয়া লিংকন এবং বিএনপি নেতা কর্নেল মোস্তাফিজ।
জানা গেছে, সেলিম রেজা, সৈকত, লিংকন, রফিক এবং মোস্তাফিজ একটি অভ্যন্তরীণ জোট গঠন করে রফিকুল জামালের একক প্রভাব প্রতিরোধে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ইদ-উল-আযহার পর তারা রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় ব্যাপক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন।
অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম ব্যক্তিগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের মাঝে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন। তার প্রাথমিক লক্ষ্য—বিএনপির ভাবমূর্তি পুনর্গঠন, বিএনপির প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা তৈরি, ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে একটি বাস্তবসম্মত রূপরেখা প্রণয়ন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঝালকাঠি-১ আসনে যিনি প্রার্থী হোন না কেন, যুক্তি ও কৌশলে সমৃদ্ধ, তৃণমূল ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুপরিচিত একজন নেতার প্রয়োজন—এ দিক থেকে ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে অনেকেই এগিয়ে রাখছেন।
তবে বর্তমানে কয়জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন তার মধ্যে রেজাউল করিম রাজনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে আছেন। কারন তিনি ২০০১ সাল থেকেই সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে ময়দানে ছিলেন যা ৬ জনের কোন প্রার্থী ছিলেন না । এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সান্নিধ্যে থেকে দীর্ঘ দিন লন্ডনের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।