+কমলনগর -লক্ষ্মীপুর): শ্রমিকবান্ধব ও ইনসাফভিত্তিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে শ্রমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে
-এ আর হাফিজ উল্যাহ
নায়েবে আমীর বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা এবং লক্ষ্মীপুর-৪, রামগতি-কমলনগর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
এ আর হাফিজ উল্যাহ বলেন, বাংলাদেশের সকল গৌরবময় অর্জনে শ্রমিক জনতার রয়েছে বিশাল অবদান। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শ্রমিকরাই সম্মুখযুদ্ধ করেছে। জীবন দিয়েছে। বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমার ভাইয়েরা দুই শতাধিক শ্রমিক শাহাদাতবরণ করেছে। শ্রমিক-মেহনতি মানুষের জীবন, রক্ত ও ঘামের উপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। অতএব, শ্রমিকদের নাগরিক অধিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পূরন করতে হবে। শ্রমিকদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং শ্রমিক সন্তানদের শিক্ষার বন্দোবস্ত করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হতে হবে শ্রমিক বান্ধব। শ্রমিকদের যথাযথ অধিকার প্রদানের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর শ্রমিক বান্ধব ও ইনসাফ ভিত্তিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে শ্রমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কমলগর উপজেলার উদ্যোগে ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে কমলনগর উপজেলায় শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কমলনগর উপজেলার সভাপতি ফলকন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব ইব্রাহিম শামীম হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ছোটনের সঞ্চালনায় সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সহসভাপতি,কমলনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জননন্দিন নেতা মাওলানা হুমায়ুন কবির, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল খায়ের, সেক্রেটারি আকরাম হোসাইন,জেলা পরিবহন ফেডারেশনের সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ।লক্ষ্মীপুর জেলা জর্জকোটের অতিরিক্ত পিপি আবদুল্যাহ আল মারজান রুম্মান,এবং উপজেলা জামায়াত ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইউনিয়ন,ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে জেলা সহসভাপতি মাওলানা হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা শ্রমিক-মালিক ভেদাভেদে বিশ্বাসী নই। আমরা শ্রমিক-মালিক সংঘাত চাই না। কিন্তু তাই বলে শ্রমিকদের শোষণ করা হবে, সেটা আমরা হতে দেবো না। শ্রমিক-মালিক ভাই ভাই হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস প্রতি বছর আমাদের ডাক দিয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো প্রতি বছর ব্যাপকভাবে এই দিনটি পালন করা হলেও শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের কোনো অগ্রগতি ঘটে না। বিশ্বের নানাপ্রান্তে শ্রমিকরা আজও নিস্পেষিত-নির্যাতিত হচ্ছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকরা অবাধে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত। আজকে দেশ নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মানুষ মুক্তভাবে নিঃস্বাস নিচ্ছে। বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। এই সময়ে এসে শ্রমিকরা যেন তাদের অধিকার আদায়ের সংগঠন অবাধভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, শ্রম অধিদপ্তরের কর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সভাপতির বক্তব্যে ইব্রাহিম শামীম হাওলাদার বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের প্রেরণার দিন। শ্রমিকদের রক্তাক্ত ইতিহাসের এই দিনে আমাদের একটাই শপথ, আমরা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে এগিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। যেখানেই শ্রমিকরা নির্যাতিত হবে, সেখানেই শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন তার প্রতিকার করতে হাজির হয়ে যাবে। শ্রমিক জনতাকে সাথে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে ফেডারেশন ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশের পর শ্রমিক জনতার র্যালি হাজিরহাট তালপট্টি মসজিদের সামনে থেকে উপকূল সরকারি কলেজ রোড এবং হাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিন করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।