০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুবলীগ নেতার ঘরে পুড়িয়ে পেলা নারীর পরিচয় মিলেছে

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : ০১:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৮ টাইম ভিউ

(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : জেলার আখাউড়ায় গর্ত করে পুড়িয়ে ফেলা নারীর মাথা উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশে একটি পুকুর থেকে তার মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারী হলেন- উপজেলার হীরাপুর এলাকার নুরুল ইসলাম বেপারীর স্ত্রী হরলুজা বেগম (৫০)। এ ঘটনায় আটক যুবক ভোর বেলায় তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তবে কি কারণে তাকে এখানে আনা হয় কিংবা কেন হত্যা করা হয় এ বিষয়ে পুলিশ বিস্তারিত জানাতে পারেনি।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর হাতে আটক ফারহান রনি নামে এক যুবককে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থলের পাশের একটি পুকুর পাড় থেকে ওই নারীর খন্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। আটক ফারহান উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভুঁইয়ার ছেলে। সে চিহ্নিত মাদকসেবী।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভুঁইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ বের হতে দেখেন। সেখানে থাকা ফারহান রনি জানায় সে পাতা পোড়া দিয়েছে। এ কথায় বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কি দেখতে চায়। এ সময় ফারহান ক্ষুব্দ হয়ে তাদেরকে মারার হুমকি দেয়। এতে সন্দেহ হলে তারাসহ স্থানীয়রা গিয়ে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আগুনে পোড়া ওই মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে তার পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআই কাজ করে। দুপুরে ঘটনাস্থলে পাশের একটি পুকুর থেকে ওই নারীর কেটে ফেলা মাথা উদ্ধার শেষে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
ওসি আরও জানায়, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক যুবক ভোরে ওই নারীকে ডেকে এনেছিলো। তবে কি কারণে তাকে আনা হয় বা হত্যা করা হয় তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন

ট্যাগ:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

যুবলীগ নেতার ঘরে পুড়িয়ে পেলা নারীর পরিচয় মিলেছে

আপডেটের সময় : ০১:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : জেলার আখাউড়ায় গর্ত করে পুড়িয়ে ফেলা নারীর মাথা উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশে একটি পুকুর থেকে তার মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারী হলেন- উপজেলার হীরাপুর এলাকার নুরুল ইসলাম বেপারীর স্ত্রী হরলুজা বেগম (৫০)। এ ঘটনায় আটক যুবক ভোর বেলায় তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তবে কি কারণে তাকে এখানে আনা হয় কিংবা কেন হত্যা করা হয় এ বিষয়ে পুলিশ বিস্তারিত জানাতে পারেনি।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর হাতে আটক ফারহান রনি নামে এক যুবককে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থলের পাশের একটি পুকুর পাড় থেকে ওই নারীর খন্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। আটক ফারহান উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভুঁইয়ার ছেলে। সে চিহ্নিত মাদকসেবী।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভুঁইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ বের হতে দেখেন। সেখানে থাকা ফারহান রনি জানায় সে পাতা পোড়া দিয়েছে। এ কথায় বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কি দেখতে চায়। এ সময় ফারহান ক্ষুব্দ হয়ে তাদেরকে মারার হুমকি দেয়। এতে সন্দেহ হলে তারাসহ স্থানীয়রা গিয়ে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আগুনে পোড়া ওই মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে তার পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআই কাজ করে। দুপুরে ঘটনাস্থলে পাশের একটি পুকুর থেকে ওই নারীর কেটে ফেলা মাথা উদ্ধার শেষে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
ওসি আরও জানায়, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক যুবক ভোরে ওই নারীকে ডেকে এনেছিলো। তবে কি কারণে তাকে আনা হয় বা হত্যা করা হয় তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন