০৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টকশো স্থগিত ঘোষণা করেছেন খালেদ মুহিউদ্দীন

ডেস্ক নিউজ : নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে আয়োজন করা টকশো স্থগিত ঘোষণা করেছেন খালেদ মুহিউদ্দীন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।

খালেদ মুহিউদ্দীন জানান, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারো বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।’

এর আগে বুধবার সকালে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে টকশো আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

ফেসবুক পেজে দেওয়া সেই পোস্টে বলা হয়, ‘৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মুখোমুখি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। দেখুন, সঙ্গে থাকুন, করুন মন্তব্য।’

এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহীদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধলক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।’

এছাড়াও ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ফেসবুক পেজের কমেন্টবক্সেও আসতে থাকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়ামূলক মন্তব্য। যোবায়ের হোসেন নামক একজন লেখেন, ‘আপনি এটা করতে পারেন না। তাদের গায়ে এখনো তাজা রক্তের গন্ধ লেগে আছে। বন্ধ করুন এগুলো।’

রাকিবুল ইসলাম নামক আরেক নেটিজেন কমেন্টে লেখেন, ‘অত্যন্ত জঘন্য সিদ্ধান্ত। নিষিদ্ধ ঘো‌ষিত খু‌নি-পলাতক আসামি কেন আপনার মেহমান হয়? কেন আপ‌নি তা‌দের আশ্রয় দি‌চ্ছেন? আপনার এই সিদ্ধান্ত ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি।’

ট্যাগ:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

টকশো স্থগিত ঘোষণা করেছেন খালেদ মুহিউদ্দীন

আপডেটের সময় : ০২:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

ডেস্ক নিউজ : নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে আয়োজন করা টকশো স্থগিত ঘোষণা করেছেন খালেদ মুহিউদ্দীন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।

খালেদ মুহিউদ্দীন জানান, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারো বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।’

এর আগে বুধবার সকালে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে টকশো আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

ফেসবুক পেজে দেওয়া সেই পোস্টে বলা হয়, ‘৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মুখোমুখি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। দেখুন, সঙ্গে থাকুন, করুন মন্তব্য।’

এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহীদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধলক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।’

এছাড়াও ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ফেসবুক পেজের কমেন্টবক্সেও আসতে থাকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়ামূলক মন্তব্য। যোবায়ের হোসেন নামক একজন লেখেন, ‘আপনি এটা করতে পারেন না। তাদের গায়ে এখনো তাজা রক্তের গন্ধ লেগে আছে। বন্ধ করুন এগুলো।’

রাকিবুল ইসলাম নামক আরেক নেটিজেন কমেন্টে লেখেন, ‘অত্যন্ত জঘন্য সিদ্ধান্ত। নিষিদ্ধ ঘো‌ষিত খু‌নি-পলাতক আসামি কেন আপনার মেহমান হয়? কেন আপ‌নি তা‌দের আশ্রয় দি‌চ্ছেন? আপনার এই সিদ্ধান্ত ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি।’