০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাইভে এসে বাঁচান বাঁচান বলা ছেলেটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : ০৪:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • ২০০ টাইম ভিউ

ফেনী: বুধবার দিবাগত রাত ১টা, আজম জহিন নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে যুবকের লাইভ- বাঁচানোর আর্তনাদ, চিৎকার আর কান্নার শব্দ….‘ভাই আমগোরে কেউ বাঁচান, দোতালা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। কেউ আমগোরে বাঁচান। কেউ কী নাই বাঁচানোর? আল্লাহ….’।

৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের সেই লাইভ পুরো ফেসবুকের পরিবেশ ভারি করে তুলেছে। শুধু চিৎকার আর কান্নার শব্দ শোনা গেছে। লাইভ চলাকালীন যুবক বারবার বলছিলেন, তার মোবাইলে চার্জ নেই। এরপর আর কোনোভাবে যোগাযোগের সুযোগও থাকবে না— বলতে বলতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

এরপর আজমকে উদ্ধারের জন্য সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাস দেন তার বন্ধুরা। তারা জানান, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার নতুন মুন্সিরহাট ইউনিয়নের জগতপুর গ্রাম থেকে লাইভে এসেছিলেন আজম। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। পানির উচ্চতা বেড়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত উঠে গেছে। কোনোভাবেই আজমের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। 

সেই ফুলগাজী উপজেলা থেকেই একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বাঁচানোর আর্তনাদ ভেসে আসে ফেসবুকে। বাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ায় সবশেষ পরিবার নিয়ে ছাদে অবস্থান করছিলেন তিনি। সেখান থেকেই সাহায্যের প্রার্থনা করছিলেন। রাত ১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্তও সেই নারী ও তার পরিবারকে উদ্ধার করা যায়নি। 

মধ্যরাত থেকে আরও ভয়ানক কিছু তথ্য ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। যেখানে বন্যা কবলিত অঞ্চলে যারা সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়- ফেনীর পরশুরাম’র সাথে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পুরোপুরি নাগালের বাহিরে। ফুলগাজীতে আর যাওয়া যাচ্ছে না। সবশেষ বন্দুয়া পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে। ছাগলনাইয়া এখন পানির নিচে, বিশেষ করে শুভপুর ইউনিয়ন ও উত্তর মন্দিয়া গ্রাম। দাগনভূইয়া প্লাবিত হচ্ছে। ফেনী শহরে অধিকাংশ বাসায় হাঁটু পরিমাণ পানি এখন।

ট্যাগ:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

লাইভে এসে বাঁচান বাঁচান বলা ছেলেটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না

আপডেটের সময় : ০৪:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

ফেনী: বুধবার দিবাগত রাত ১টা, আজম জহিন নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে যুবকের লাইভ- বাঁচানোর আর্তনাদ, চিৎকার আর কান্নার শব্দ….‘ভাই আমগোরে কেউ বাঁচান, দোতালা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। কেউ আমগোরে বাঁচান। কেউ কী নাই বাঁচানোর? আল্লাহ….’।

৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের সেই লাইভ পুরো ফেসবুকের পরিবেশ ভারি করে তুলেছে। শুধু চিৎকার আর কান্নার শব্দ শোনা গেছে। লাইভ চলাকালীন যুবক বারবার বলছিলেন, তার মোবাইলে চার্জ নেই। এরপর আর কোনোভাবে যোগাযোগের সুযোগও থাকবে না— বলতে বলতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

এরপর আজমকে উদ্ধারের জন্য সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাস দেন তার বন্ধুরা। তারা জানান, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার নতুন মুন্সিরহাট ইউনিয়নের জগতপুর গ্রাম থেকে লাইভে এসেছিলেন আজম। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। পানির উচ্চতা বেড়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত উঠে গেছে। কোনোভাবেই আজমের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। 

সেই ফুলগাজী উপজেলা থেকেই একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বাঁচানোর আর্তনাদ ভেসে আসে ফেসবুকে। বাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ায় সবশেষ পরিবার নিয়ে ছাদে অবস্থান করছিলেন তিনি। সেখান থেকেই সাহায্যের প্রার্থনা করছিলেন। রাত ১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্তও সেই নারী ও তার পরিবারকে উদ্ধার করা যায়নি। 

মধ্যরাত থেকে আরও ভয়ানক কিছু তথ্য ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। যেখানে বন্যা কবলিত অঞ্চলে যারা সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়- ফেনীর পরশুরাম’র সাথে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পুরোপুরি নাগালের বাহিরে। ফুলগাজীতে আর যাওয়া যাচ্ছে না। সবশেষ বন্দুয়া পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে। ছাগলনাইয়া এখন পানির নিচে, বিশেষ করে শুভপুর ইউনিয়ন ও উত্তর মন্দিয়া গ্রাম। দাগনভূইয়া প্লাবিত হচ্ছে। ফেনী শহরে অধিকাংশ বাসায় হাঁটু পরিমাণ পানি এখন।