কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা দেবিদ্বারে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ওপর পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের পদ্মকোট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মোঃ কবির হোসেন নামে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়। আহত ওই সাংবাদিকের বাড়ি উপজেলার উজানি কান্দি গ্রামে। এই ঘটনায় ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের নামে ওইদিন বিকালে দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সাংবাদিক মোঃ কবির হোসেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
আহত ওই সাংবাদিক জানান, দেবিদ্বার উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ নাসিম সরকার ওরফে টুটুল(৩৪), মোঃ জালাল সরকারের ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (৩০), মোঃ তমিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ তানজিল সরকার (২৮), মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ তমিজ উদ্দিন (৫৫) ও তাদের লোকজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের কারনে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো। বেশ কিছুদিন ধরে তারা আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলো।
শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে বের হয়ে পরিষদ সংলগ্ন আবদুল কাদেরের চা-দোকানের সামনের সড়কে আসা মাত্রই মোঃ নাসিম সরকার টুটুল ও সাজ্জাদের নেতৃত্বে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার ব্যবহৃত ডিসকভার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যেতে চাইলে উপস্থিত জনতা তাদেরকে ধাওয়া দিলে ওরা যাওয়ার সময় আমার সংবাদ সংগ্রহের প্রয়োজনীয় মাইক্রোফোন(বুম), প্রেসকার্ড সহ অন্যান্য দরকারী জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে প্রাণে রক্ষা করে তারা আমাকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেন।
সাংবাদিক মোঃ কবির হোসেন আরো বলেন, আক্রমণকারীরা খুবই উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির এবং মাদকাসক্ত। এলাকায় ওদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে প্রতিবাদ করেনা। ইতিপূর্বে অভিযুক্ত আসামীরা সহ তাদের সঙ্গে থাকা আরো কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাকে রাস্তায় কয়েকবার প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে বিগত দিনে আমি দেবিদ্বার থানায় তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম বর্তমানে আমি জীবন নিয়ে ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত সাজ্জাদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নয়ন মিয়া বলেন, ওই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার সাথে সাথে আমি একজন অফিসারকে তদন্ত করতে বলেছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।